কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

শীঘ্রই শুরু মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ

শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরু হচ্ছে। এবার কর্মী প্রেরণের আগের মতো জিটুজি (সরকার টু সরকার) প্লাস পদ্ধতি উল্লেখ থাকছে না। নতুন করে যুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সি। পাশাপাশি কর্মীদের বাধ্যতামূলক বীমা এবং দেশে ফেরার ব্যবস্থাও থাকছে। এসব খরচ বহন করবেন মালয়েশিয়ান নিয়োগদাতা। চুক্তি মেয়াদে কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সিকেও। মালয়েশিয়া প্রেরণে কর্মীদের বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত। তাছাড়া মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় বহন করবে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন। তাতে বাংলাদেশি কর্মীদের অভিবাসন খরচ অনেক কমে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শ্রম বাজার নিয়ে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। এ সময় উভয় দেশের দুই মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি, আধুনিক জীবনযাত্রা, ভালো উপার্জন আর সাংস্কৃতিক মিল থাকায় নিরিবিলি বসবাসের স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বছর মালয়েশিয়ায় যান অসংখ্য কর্মী। বর্তমানে দেশটিতে রয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি।

সবশেষ ২০১৮ সালে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার। কিন্তু ওই বছরই সেপ্টেম্বরে দেশটির নতুন সরকার কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় এবং গত প্রায় দুই বছর ধরে করোনাভাইরাসের কারণে সেখানে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ছিল নামমাত্র। দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। সব সেক্টরে কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দেয় দেশটির মন্ত্রী পরিষদ। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি। চুক্তি সই সম্পন্ন হওয়ায় এসব খাতে বাংলাদেশি কর্মীরা দেশটিতে যেতে পারবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার চেষ্টা বারবার ব্যাহত করেছে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। তাদের তৈরি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে এ বাজার দখলের চেষ্টায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে কর্মী প্রেরণে আবারও সিন্ডিকেটের সক্রিয় হয়ে ওঠার শঙ্কা করছেন এ খাতে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারের নতুন করে কর্মী প্রেরণে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সেদেশে যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া হবে।’

পাঠকের মতামত: